নির্বাচন করলে ৩টা সিট পাবে না, ৩০০ সিটের পাওয়ার দেখাইতেছে: বিএনপি নেতা ফজলুর - NCN NEWS

সর্বশেষ

Home Top Ad

Post Top Ad

Blogger Terms of Service·Privacy·Content Policy Add, remove and edit gadgets on your blog. Click and drag to rearrange gadgets. To change columns and widths, use the Theme Designer. Configure HTML/JavaScript Home Top Ad Page loaded.Getting gadget data

বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৫

নির্বাচন করলে ৩টা সিট পাবে না, ৩০০ সিটের পাওয়ার দেখাইতেছে: বিএনপি নেতা ফজলুর

 


কিশোরগঞ্জের ইটনায় ঈদ পুনর্মিলনী ও পথসভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান। মঙ্গলবার রাতে ইটনা সদরের পুরান বাজার এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

‘একলা নির্বাচন করলে ৩টা সিট পাবে না, কিন্তু ৩০০ সিটের পাওয়ার দেখাইতেছে এখন। সমস্ত প্রশাসন দখল করে বসছে। দুই পারসেন্ট লোক নাই। পায়ের ওপর পা তুলে কথা বলে। ইউএনও চলে তার কথায়, ডিসি চলে তার কথায়। প্রশাসন চলে তার কথায়। কেন? বাপের বেটা অইলে ইলেকশনে আসো। ইলেকশনে দেখা যাবে বাংলাদেশের মানুষ কারে দায়িত্ব দেয়। তখন বেটাগিরি করো।’

কিশোরগঞ্জের ইটনায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী ও পথসভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান জামায়াতের উদ্দেশে এ কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ইটনা সদরের পুরান বাজার এলাকায় এই ঈদ পুনর্মিলনী ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি জামায়াতের আমিরকে জিজ্ঞেস করব, আমি একটা কথা মিছা কইছি কি না? তাহলে আপনার শিবির ও জামায়াতের কর্মীরা আমারে এত বকাবকি করে কেন? আমারে ফজু পাগলা কয় কেন? ঠিক আছে আপনারা পাল্লা (দাড়িপাল্লা প্রতীক) নিয়া করবেন, আমরা ধানের শীষ নিয়া করব। পাবলিককে ডিসিশন নিতে দেন। পাবলিক যারে ভোট দিব, হে দেশ চালাইব। খালি বকাবকি করেন কেন? আর পেছন দিক দিয়ে কালো অন্ধকারে বসে কুট কুট করেন কেন? ১০ বছর কেমনে বিনা ভোটে থাকা যায়। কারণ জানেন, ভোট করলে জামানত থাকবে না। কূটকৌশল করে ক্ষমতায় থাকতে চান। এইটা কইলেই ফজলুর রহমান খারাপ।’

ফজলুর রহমান আরও বলেন, ‘আপন ভাইয়ের সন্তানের জ্বালায় জান বাঁচে না, আবার সৎভাইয়ের সন্তানেরা আইছে। কারা? যারা ওই মুক্তিযুদ্ধের সময় দালালি করছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার-আলবদর ছিল। তৌহিদি জনতা আমার পোস্টারে কেন জুতা মারেন? মারেন, আমার কপালেও মারেন। কারণ, এই দেশ স্বাধীন করে আপনাদের মাফ করছি বলেই তো বেঁচে আছেন।’এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফজলুর রহমান বলেন, ‘কলাগাছ কি বটগাছের চেয়ে বেশি উঁচু হয়? অনির্বাচিত সরকার কি নির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেশি আইন পাবে? কাজেই আমরা চাই না, এই দেশে অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন থাকুক। দেশে এখন গণতন্ত্র নাই। আগে কইছে ডিসেম্বর মাসে ভোট দিব। কয় দিন পরে গলা টাইনা বলে ইলেকশন ছয় মাস দেরি করে জুন মাসে দিব। জুন মাস যখন হয়ে যাবে, তখন বলবে আরে জুন মাসে তো আওয়ামী লীগের জন্মদিন। এ মাসে ফ্যাসিস্টদের জন্ম। এই মাসে তো কোনো ইলেকশন হইতে পারে না। এরপরে কইব, আগস্ট-সেপ্টেম্বর, এটাতে তো আমরা আন্দোলন করছিলাম, বিপ্লবের মাস। সেই মাসে ইলেকশন হবে না। আরেকটু পিছিয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হোক। এইভাবে ইলেকশন টেনে কূটকৌশল করে পিছাইতেছে। কারণ, তারা জানে, ইলেকশন অইলে বিএনপি ৮০ ভাগ ভোট পাবে। যেই কারণে ইলেকশন দিতে চায় না।’

ইটনা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এম এ ছালেকের সভাপতিত্বে এ পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন, ফজলুর রহমানের স্ত্রী জেলা বিএনপির সহসভাপতি আইনজীবী উম্মে কুলসুম, ইটনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর, উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. মনির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages